মুহাম্মদ مُحَمَّد Grammarical form.

🟩 মুহাম্মদ مُحَمَّد আরবী শব্দ।  
"হামদ" حَمْدُ থেকে উৎপত্তি 
Root Letters:  Trilateral letters (ح-م-د)। এই “হামদ” শব্দের প্রথম দিকে “মিম” (م) অক্ষরটি যুক্ত হয়ে মুহাম্মদ হয়েছে। 
উদাহারন স্বরূপঃ মুনাফিক (مُنافِق) শব্দটি نفق থেকে উৎপত্তি,
 আবার মুশরিক (مُشْرِك) শব্দটি شرك থেকে উৎপত্তি । 
🟩 The Active and Passive Participle (ক্রিয়াপদের উপর ভিত্তি করে একটি শব্দ যা অস্তিত্বের একটি অবস্থা প্রকাশ করে)। 
Passive Participle /Active Participle : مَحْمُوْد , مُحَمَّد
Active participle  – مُزَكٍّ 
Passive participle  – مُزَكًى
🟢 আমাদের মনে রাখতে হবে আরবীতে Naun /Pronoun-এর derivative বানাতে  “م”  অক্ষর টি শব্দের প্রথম দিকে যুক্ত হয়ে Active participle or Passive Participle করা হয় The active participle is formed from trilateral letters. 
🟢 Passive Participle যখন ক্রিয়া ব্যতীত অন্যান্য শব্দ থেকে গঠিত হয় ক্রিয়াটিকে Passive Aorist Tense (চলমান কাল)-এর মধ্যে রেখে এবং অ্যাওরিস্ট অক্ষরঃ মিম (م) -এর উপর পেশ - مُ  প্রতিস্থাপিত করে পরিবর্তন করা হয়। যেমন: یُقَدُّمُ  - مُقَدَّمٌ হয়ে যায়।
🟩 Passive Participle /Active Participle : مَحْمُوْد , مُحَمَّد
✅ সুতরাং যারা শিরিক করে তাদের কেই মুশরিক مُشْرِك বলা হয়েছে
 (২৯ সূরা আনকাবুতঃ ৬৫)
 (৬ সূরা আনআমঃ ৬৪), এটাও একটা 🔸চলমান উপাধী ।
✅ তেমনি  মুনাফিক শব্দটি কুরআনের বিভিন্ন সূরার আয়াতে ٱلْمُنَٰفِقُونَ, 🔸চলমান উপাধী হয়ে ব্যবহৃত হয়েছঃ 
(৩৩ সূরা আহযাবঃ ১২) (৬৩ সূরা মুনাফিকুনঃ ১)
✅ “হামদ” শব্দটি সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যবহৃত হয় না অগত্যা অর্জন করতে হয় eg.   (১৭ সূরা বনি-ইসরাইলঃ ৭৯)   مَّحْمُودًا (সুউচ্চ প্রশংসার পরিচিতির আসনে)
 (৯ সূরা তাওবাহঃ ১১২) (“আল- হামিদুন ٱلْحَٰمِدُونَ)। 
✅ যদি গুণাবলী গুলি নিজস্বভাবে ধারন করে থাকে, তবে “হামদ” এর পরিবর্তে  “মাদাহ্” madah ” َم َد َح“ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। 
🟥 কুরআনে বিভিন্ন আয়াতে “হামদ” শব্দটি কিভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তার কিছু  উদাহারন।
✅ “হামদ” حَمْد এর সাথে  ال (definite article) যুক্ত হয়ে  الحَمْدُ (সকল প্রশংসা) । (১ সূরা ফাতিহাঃ ১) Determiner হিসেবে Specific Noun  কে বুঝিয়েছে। 
‎✅   يُحْمَدُوا۟  (Verb । Personal Pronoun). তাদের প্রশংসা করা হোক / প্রশংসা পেতে চায় । (৩ সূরা ইমরানঃ ১৮৮) 
🟥কোন ভাল কাজের জন্য ‘প্রশংসা করা’ বা ‘প্রশংসিত হওয়া’ অর্থাৎ কুরআনের আলোকে আয়াত প্রচারের কারনে প্রশংসিত হয়ে চলমান “মুহাম্মদ” উপাধি ধারণ  করে। 
[৩৩ সূরা আহযাবঃ ৪০] আয়াত প্রচারের কারণে প্রশংসিত মুহাম্মাদ তো আর তোমাদের মধ্যকার কোনো পুরুষের আবা (বাবা, দাদা, নানা ও পরনানা) নয়। কিন্তু মুহাম্মাদ তো আল্লহ্ তাআলার প্রেরিত রাসূল ও সকল বিশেষ খবরদাতা নবীদের সিলমোহর। আর আল্লহ্ তো সবকিছুই বেশ জানেন। 
🟥 এই আয়াতটি’তে আমাদের জন্য কয়েকটি মেসেজ আছে,
 ১) মুহাম্মাদ তো আর তোমাদের মধ্যকার কোনো পুরুষের আবা (বাবা, দাদা, নানা ও পরনানা) নয়। 
২) মুহাম্মাদ তো আল্লহ্ তাআলার প্রেরিত রাসূল, 
৩) সকল (বিশেষ খবরদাতা) নবীদের সিলমোহর,
 ৪) আল্লহ্ তো সবকিছুই বেশ জানেন।
✴️ আমরা যদি উপরের (১-৩) আয়াত গুলো লক্ষ্য করি,
 ১) “আবা” (أَبَآ হচ্ছেঃ বাবা, দাদা, নানা ও পরনানা) নয়❌, সুতরাং এখানে “মুহাম্মদ” শব্দটির কোন পূর্ব পূরুষ বা সন্তান নেই❌।
 ২) মুহাম্মদ তো আল্লাহ তাআলার রাসূল✅,
 ৩) خَاتَمَ  ٱلنَّبِيِّ ( সকল নবীদের সিলমোহর)✅। 
⛔️ সারমর্ম, কুরআন-এর আয়াত গুলোতে “মুহাম্মদ” مُحَمَّدٌ শব্দটি একটি চলমান উপাধী যা অর্জন করতে হয় 
(বর্তমান চলিত কালঃ Present Continuous Tense) আল্লহ্ তা'আলার রাসূল। আয়াত প্রচারের কারনে প্রশংসিত হয়ে সেই সময়ের জন্য “মুহাম্মদ” উপাধী ধারন করে। (৪৮ সূরা ফাতাহঃ ২৯) 
(৪৮ সূরা ফাতাহঃ ২৯) আয়াত প্রচারের কারণে প্রশংসিত মুহাম্মাদ হলেন আল্লহ্ তা'আলার রাসূল। আর যারা তার সাথে সম্পর্ক রাখে তারা (আয়াত গোপন করার কারণে অবাধ্য) কাফিরদের মোকাবিলায় খুবই তৎপর। আর নিজেদের মধ্যে তারা বড়ই রহম দিল। তাদেরকে দেখবে, কখনো তারা রুকু করবে আবার কখনো সাজদাহ করবে। আর তারা আল্লহ্ তা'আলার সাহায্য-সামগ্রী ও সন্তুষ্টি লাভের জন্য সচেষ্ট থাকে।
 তাদের পরিচয় পাওয়া যায় চেহারায় সাজদার চিহ্নের মারফতে। তাদের এই গুণাবলী বিশেষ আইন আত-তাওরাতে আর বিশেষ সুসংবাদ আল-ইনজিলে বিদ্যমান রয়েছে। ঠিক যেমন ফসল ফলার জন্য বীজ অঙ্কুর বের করে, তারপরে সেটাকে শক্তিশালী করে তোলে। তারপরে সেটা সোজাভাবে দাঁড়ায়। আশ্চর্য জনক ফলন্ত ফসল, যা দেখে কৃষকদের মনে আনন্দ হয়। আল্লহ্ ওয়াদা করেছেন তাদের সাথে, যারা তাদের মধ্যে ঈমান আনবে আর সংশোধনের কাজ করবে। তাদের জন্যই তো ক্ষমা ও বিরাট পারিশ্রমিক রয়েছে।
🅾️ মুহাম্মদ শব্দটি কুরআনে ৪ (চার) বার এসেছে,
 (3: 144), (33: 40), (47: 2), (48: 29)
.
Origin-Yasuri fb.

Comments

Popular posts from this blog

Muhammad in the Quran is not the name but an adjective/indefinite.

HEAVEN AND HELL ARE THE STATES OF CONSCIOUSNESS AND NOT PHYSICAL PLACES.+ fb below link.(স্বৰ্গ আৰু নৰক চেতনাৰ অৱস্থা, ভৌতিক স্থান নহয়)

💙Part:376(31:29-34)Luqmãn(End)